যে ভাবে শুরু করেছি অনলাইন ব্যবসা (১ম পর্ব)

ছবি:

প্রথমেই বলে রাখি আমার সাফল্য , যোগ্যতা ও দক্ষতা এতই কম যে আমি অনেকর সামনে যেতে লজ্জ্বা পাই। আমি অনেক কিছুই এড়িয়ে চলি।বিশেষ কারনে ফেইসবুকে নিজের ওয়ালেই সীমাবদ্ধ থাকি।নিজের কি কথা বলবো সেটা বুঝতে পারছি না। । কিন্তু আগের পোস্টগুলোতে কিছু অনুরোধ এসেছে তাই লিখছি। যাদের মনে হবে এই ধরনের তথ্য পড়লে মন ও মেজাজ খারাফ হয়ে যেতে পারে দয়া করে না পড়ে এড়িয়ে যাবেন। এতে আপনার মূল্যবান সময় বেচেঁ যাবে। আমি আসলে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেছে বাংলাদেশেই।কোন কোম্পানীতে যোগ না দিয়ে নিজেই সফটওয়্যার তৈরি করতাম। ২০০২ সাল হতে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সফটওয়্যার তৈরির সাথে যুক্ত চিলাম। । আমার সাথে আমার একজন এসিট্যান্ট ২০০২ বা ২০০৩ সাল থেকেই ছিলো। আমার শুরুটা ভালো হয়েছিলো। প্রথমেই একটা শিপিং ইয়ার্ডের জন্য সফটওয়্যার তৈরি করি।এই সফটওয়্যার তৈরি করতে অনেকেই ব্যর্থ হচ্ছিলো। আমার কাজের ধরন ও সাফল্য দেখে তারা আমার সাথে দীর্ঘ মেয়াদী চুক্তি করে। এই কাজের পর আরো বড় বড় কোম্পানী গুলো তাদের সফটওয়্যার বানাতে আমাকে হায়ার করা শুরু করছিলো। শিপিংয়ের অনেকেই আমাকে তখন চিনতো।অনেকই আমাকে বেশ কদর করতো। আমার কোনো প্রজেক্টেই ব্যর্থ হয় নাই। এক শিপিং কোম্পানীর ম্যানেজার আরেক শিপিং কোম্পানীর ম্যানেজারে কাছে নিয়ে যেতো। তারাই আমার মার্কেটিং করতো। কিন্তু আমার লোকাল মার্কেটের জন্য কাজ করতে ভালো লাগতো না। খুব চাপ আর অনিশ্চয়তা। টাকা পয়সা যেভাবে পাওয়ার কথা পাচ্ছিলাম না। ২০০৩ সালেই আমি বিয়ে করি। একটা একটা ভীষন চাপ ছিলো। আমি চাইছিলাম আরো ভালো কিছু করতে ।তখন ইন্টারনেটের ব্যবহারের সুবিধা তেমন ছিলো না। আমি ইনটারনেট ব্যবহারে সুযোগ পেলেই অনলাইনে কিভাবে কাজ করা যায় তা দেখতাম। এই দেখাদেখি আসলে ২০০০ সাল থেকেই করছিলাম। আমি যখন শুরু করি তখন শুধু রেন্টে কোডার আর ইল্যান্স ছিলো। ওডেক্সের নামই শুনি নাই। ২০০৮ এর দিকই আসলে অডেক্স বেশ জনপ্রিয় হয়। আমি আগেই ঠিক করেছি আমি একা কাজ করবো না। আমার টিম থাকবে তারা ৮০% কাজ করবে। ২০% কাজ যেগুলো তারা পারবে না সেগুলো আমি করবো। আমি খেয়াল করে দেখেছি যেকোনো কাজে এমনকি মেনেজারের কাজেও ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ কাজ রিপিটিটিভ এবং একই ধরনের । আমি বিশ্বাস করতাম এই ৮০% কাজ অন্যকে শিখালে সে করতে পারবে। মানে জুনিয়র দিয়ে করানো যাবে।তাই আমার প্লান ছিলো আমার কাজের ৮০% কাজ আমি টিম দিয়ে করাবো। আমি উইনডোজ প্রোগ্রামার ছিলাম। ইল্যান্সে প্রোফাইল খুলতে টাকা লাগতো। আর রেন্টে কোডারে যে কাজ ছিলো তা ইন্ডিয়ান প্রোগ্রামারদের বিড করার মতো প্রস্তুত ছিলাম না।আর বিড করতে আমার ভালো লাগতো না। ওয়েবে কিভাবে বিজনেস করা যায় তা পড়তে থাকি। ওয়েব সাইট, কনটেন্ট , মার্কেটিং এগুলো যখন যা পাই পড়তে থাকি। নানা রকম যোগ বিয়োগ করেছি। ওয়েব বিজনেস তৈরির ক্ষেত্রে তখন কিছু লেখা পড়ছিলাম তাতে ইউএসপি(ইউনিকসেলিং পজিসনিং) এর কথাই বার বার বলা হতো।খুজতে লাগলাম আমাদের ইউএসপি কি। দেখলাম সেটা মানুষ। সেই কারনে গার্মেন্টসের প্রায় সব ব্যবসায়ী ধনী ও গাড়ী বাড়ীর মালিক। সেই কারনে বিদেশে যারা লোক পাঠায় তারা সফল। সবাই টাকার মালিক হয়। আমি খুজতেছিলাম এমন ধরনের কাজ যা কিছু ট্রেনিং দিয়ে মানুষকে তৈরি করে নেয়া যায়। যদিও আমি প্রোগ্রামার আমি প্রোগ্রামিংকে নিজের ইউএসপি মনে করি নাই। কারন তখন প্রোগ্রামার পাওয়া খুব কঠিন । আমি আগেই বলেছি আমি নিজে কাজ করবো না এটাই প্লান ছিলো। আর প্রোগ্রামারা খুব সুইচ করে। প্রফেশনলারা ছোট কোম্পানীগুলোকে তাদের ক্যারিয়ার তৈরির জন্য অপেরেশন ল্যাব হিসাবে ব্যবহার করে। একটু তৈরি হলেও বেটার চান্সের কথা বলে চলে যাবে এই বিষয়টা মাথায় ছিলো। আমি ঠিক করেছিলাম যাই করি যে টিম তৈরি করবো তারা তিন বছর কমপক্ষে কাজ করতে হবে। তবে আমি অর্থনৈতিক ভাবে শক্ত হয়ে যাবো। আমি তখন প্রোডাক্ট তৈরির জন্য প্রজেক্টে ফ্যাইনান্স করতে পারবো। আর বেটার প্রফেশনাল নিয়োগ করতে পারবো। এরই মধ্যে প্রথমে অফিসে পরে বাসায় ব্রডব্যান্ডের ব্যবস্থা করেছি। দিনের বেলায় সফটওয়্যারের কাজ করি । রাতে ওয়েবে কি করা যায় তাই খুজি। এই রকম ৩ বছর চলছিলো। প্রচন্ড মানুসিক চাপ আর অনিশ্চয়তায় ভুগতেছিলাম। খুবই ভালো কিছু চাকরীর অফার ছিলো রিজেক্ট করেছিলাম। তাই মাঝে মাঝে মনে হতো না জানি ছিটকে পড়ি। ওয়েব রিসার্চ করতে করতে কিছু সার্ভিসের ধারনা পাইছি। সেইগুলো নিয়ে এবার ওয়েব সাইট তৈরি শুরু করার শুরু করলাম।

কোন মন্তব্য নেই:

যে ভাবে শুরু করেছি অনলাইন ব্যবসা (১ম পর্ব)

ছবি:

প্রথমেই বলে রাখি আমার সাফল্য , যোগ্যতা ও দক্ষতা এতই কম যে আমি অনেকর সামনে যেতে লজ্জ্বা পাই। আমি অনেক কিছুই এড়িয়ে চলি।বিশেষ কারনে ফেইসবুকে নিজের ওয়ালেই সীমাবদ্ধ থাকি।নিজের কি কথা বলবো সেটা বুঝতে পারছি না। । কিন্তু আগের পোস্টগুলোতে কিছু অনুরোধ এসেছে তাই লিখছি। যাদের মনে হবে এই ধরনের তথ্য পড়লে মন ও মেজাজ খারাফ হয়ে যেতে পারে দয়া করে না পড়ে এড়িয়ে যাবেন। এতে আপনার মূল্যবান সময় বেচেঁ যাবে। আমি আসলে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেছে বাংলাদেশেই।কোন কোম্পানীতে যোগ না দিয়ে নিজেই সফটওয়্যার তৈরি করতাম। ২০০২ সাল হতে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সফটওয়্যার তৈরির সাথে যুক্ত চিলাম। । আমার সাথে আমার একজন এসিট্যান্ট ২০০২ বা ২০০৩ সাল থেকেই ছিলো। আমার শুরুটা ভালো হয়েছিলো। প্রথমেই একটা শিপিং ইয়ার্ডের জন্য সফটওয়্যার তৈরি করি।এই সফটওয়্যার তৈরি করতে অনেকেই ব্যর্থ হচ্ছিলো। আমার কাজের ধরন ও সাফল্য দেখে তারা আমার সাথে দীর্ঘ মেয়াদী চুক্তি করে। এই কাজের পর আরো বড় বড় কোম্পানী গুলো তাদের সফটওয়্যার বানাতে আমাকে হায়ার করা শুরু করছিলো। শিপিংয়ের অনেকেই আমাকে তখন চিনতো।অনেকই আমাকে বেশ কদর করতো। আমার কোনো প্রজেক্টেই ব্যর্থ হয় নাই। এক শিপিং কোম্পানীর ম্যানেজার আরেক শিপিং কোম্পানীর ম্যানেজারে কাছে নিয়ে যেতো। তারাই আমার মার্কেটিং করতো। কিন্তু আমার লোকাল মার্কেটের জন্য কাজ করতে ভালো লাগতো না। খুব চাপ আর অনিশ্চয়তা। টাকা পয়সা যেভাবে পাওয়ার কথা পাচ্ছিলাম না। ২০০৩ সালেই আমি বিয়ে করি। একটা একটা ভীষন চাপ ছিলো। আমি চাইছিলাম আরো ভালো কিছু করতে ।তখন ইন্টারনেটের ব্যবহারের সুবিধা তেমন ছিলো না। আমি ইনটারনেট ব্যবহারে সুযোগ পেলেই অনলাইনে কিভাবে কাজ করা যায় তা দেখতাম। এই দেখাদেখি আসলে ২০০০ সাল থেকেই করছিলাম। আমি যখন শুরু করি তখন শুধু রেন্টে কোডার আর ইল্যান্স ছিলো। ওডেক্সের নামই শুনি নাই। ২০০৮ এর দিকই আসলে অডেক্স বেশ জনপ্রিয় হয়। আমি আগেই ঠিক করেছি আমি একা কাজ করবো না। আমার টিম থাকবে তারা ৮০% কাজ করবে। ২০% কাজ যেগুলো তারা পারবে না সেগুলো আমি করবো। আমি খেয়াল করে দেখেছি যেকোনো কাজে এমনকি মেনেজারের কাজেও ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ কাজ রিপিটিটিভ এবং একই ধরনের । আমি বিশ্বাস করতাম এই ৮০% কাজ অন্যকে শিখালে সে করতে পারবে। মানে জুনিয়র দিয়ে করানো যাবে।তাই আমার প্লান ছিলো আমার কাজের ৮০% কাজ আমি টিম দিয়ে করাবো। আমি উইনডোজ প্রোগ্রামার ছিলাম। ইল্যান্সে প্রোফাইল খুলতে টাকা লাগতো। আর রেন্টে কোডারে যে কাজ ছিলো তা ইন্ডিয়ান প্রোগ্রামারদের বিড করার মতো প্রস্তুত ছিলাম না।আর বিড করতে আমার ভালো লাগতো না। ওয়েবে কিভাবে বিজনেস করা যায় তা পড়তে থাকি। ওয়েব সাইট, কনটেন্ট , মার্কেটিং এগুলো যখন যা পাই পড়তে থাকি। নানা রকম যোগ বিয়োগ করেছি। ওয়েব বিজনেস তৈরির ক্ষেত্রে তখন কিছু লেখা পড়ছিলাম তাতে ইউএসপি(ইউনিকসেলিং পজিসনিং) এর কথাই বার বার বলা হতো।খুজতে লাগলাম আমাদের ইউএসপি কি। দেখলাম সেটা মানুষ। সেই কারনে গার্মেন্টসের প্রায় সব ব্যবসায়ী ধনী ও গাড়ী বাড়ীর মালিক। সেই কারনে বিদেশে যারা লোক পাঠায় তারা সফল। সবাই টাকার মালিক হয়। আমি খুজতেছিলাম এমন ধরনের কাজ যা কিছু ট্রেনিং দিয়ে মানুষকে তৈরি করে নেয়া যায়। যদিও আমি প্রোগ্রামার আমি প্রোগ্রামিংকে নিজের ইউএসপি মনে করি নাই। কারন তখন প্রোগ্রামার পাওয়া খুব কঠিন । আমি আগেই বলেছি আমি নিজে কাজ করবো না এটাই প্লান ছিলো। আর প্রোগ্রামারা খুব সুইচ করে। প্রফেশনলারা ছোট কোম্পানীগুলোকে তাদের ক্যারিয়ার তৈরির জন্য অপেরেশন ল্যাব হিসাবে ব্যবহার করে। একটু তৈরি হলেও বেটার চান্সের কথা বলে চলে যাবে এই বিষয়টা মাথায় ছিলো। আমি ঠিক করেছিলাম যাই করি যে টিম তৈরি করবো তারা তিন বছর কমপক্ষে কাজ করতে হবে। তবে আমি অর্থনৈতিক ভাবে শক্ত হয়ে যাবো। আমি তখন প্রোডাক্ট তৈরির জন্য প্রজেক্টে ফ্যাইনান্স করতে পারবো। আর বেটার প্রফেশনাল নিয়োগ করতে পারবো। এরই মধ্যে প্রথমে অফিসে পরে বাসায় ব্রডব্যান্ডের ব্যবস্থা করেছি। দিনের বেলায় সফটওয়্যারের কাজ করি । রাতে ওয়েবে কি করা যায় তাই খুজি। এই রকম ৩ বছর চলছিলো। প্রচন্ড মানুসিক চাপ আর অনিশ্চয়তায় ভুগতেছিলাম। খুবই ভালো কিছু চাকরীর অফার ছিলো রিজেক্ট করেছিলাম। তাই মাঝে মাঝে মনে হতো না জানি ছিটকে পড়ি। ওয়েব রিসার্চ করতে করতে কিছু সার্ভিসের ধারনা পাইছি। সেইগুলো নিয়ে এবার ওয়েব সাইট তৈরি শুরু করার শুরু করলাম।

কোন মন্তব্য নেই: