ডোমেইন একটি ইউনিক বিষয়, একি নামে দুইজন বা তার বেশি মানুষ থাকতে পারে। কিন্তু একি নামের ডোমেইনে একাধিক ওয়েব সাইট থাকতে পারে না। তাই ভাল ডোমেইন খালি পাওয়া বেস কষ্ট সাধ্য, অনেক সময় চাহিদা অনুযায়ি ভাল ডোমেইন খালি পাওয়া যায় না।

পৃথিবীতে অনেক রকমের ডোমেইন (ডোমেইন এক্সটেনশান) পাওয়া যায়। ডোমেইনকে তার এক্সটেনশান (.com; .net; .org; .gov; .edu etc.) দিয়ে ঐ ডোমেইনের
আওতায় যে সাইট আছে তার প্রকৃতি বুঝা যায়। প্রতিনিয়তই নতুন নতুন ডোমেইনের এক্সটেনশান তৈরী হচ্ছে। এক এক এক্সটেনশনের ডমিনের দাম এক এক রকম। আমরা সাধারনত ডট কম (.com) ডোমেইন নিয়ে কাজ করে থাকি। ক্ষেত্র বিশেষে ডট নেট (.net) ও ডট ওআরজি (.org) নিয়েও কাজ করি।
আমাদের অ্যাফিলিয়েশনের জন্য আমরা মূলত .com, .net বা .org এই ৩টি এক্সটেনশানের যেকোন একটি এক্সটেনশানের ডোমেইন নিয়ে কাজ করব। আর এই ৩টি এক্সটেনশানের ডোমেইনের দাম সাধারনত ১০ থেকে ১৫ ডলারের হয়ে থাকে (৮০০ থেকে ১২০০ টাকা)।
বলে রাখা ভাল, ডোমেইন এবং হোস্টিং সাধারনত ১ বছরের জন্য নেওয়া হয়। বছর শেষে পুনরায় আপনাকে সেই ডোমেইন এবং হোস্টিং রিনিউ করতে হবে।
ডোমেইন নির্বাচনে বিবেচ্চ বিষয়:
১। সহজেই মনেরাখা/লিখা যায় এমন: ডোমেইন নির্বাচনে এমন ডোমেইন বাছাই করা উচিৎ যা কিনা একবার দেখলেই মনে রাখা যায়। ডোমেইনে বিদঘুটে এমন কিছু দেওয়া যাবে না যা কিনা উচ্চারন করতে মানুষের দাঁত ভেঙ্গে ফেলার উপক্রম হয়। সহজ-সরল নাম নেওয়াটাই শ্রেয়।
২। অবাঞ্চিত কেরেক্টার না ব্যাবহার করা: ডোমেইনে এমন কোন ক্যারেক্টার দেওয়া উচিৎ না, যাকিনা ব্রাউজারে ডোমেইন টাইপ করার সময় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। উদাহরন: আপনি যদি কাউকে বলেন প্রথমআলো ডটকমে ভিজিট করতে, সে যদি প্রথমআলো ডটকম সম্পর্কে পূর্র্বে কোন ধারনা না রাখে, তাহলে সে অবশ্যই ব্রাউজারে prothomalo.com টাইপ করবে। আর সে চলে যাবে অন্য কোন আন-অথরাইজড ওয়েব সাইটে। কারন আপনি/আমি যখন তাকে বলেছি তখন তাকে “প্রথম ড্যাস(-) আলো” বলেন নি, আর তাই সে ভুল ওয়েব সাইটে চলে গেছে। সুতরাং ডোমেইনে অপ্রয়োজনীয় (-), সংখ্যা (24 বা 360) না ব্যবহার করাই ভাল।
৩। ভুল বানান পরিহার করা: অনেকেই ডোমেইনের বানানে ইচ্ছে করে বা অনিচ্ছাকৃত ভুল করে। যার দরুন সেই ডোমেইনের ব্রেন্ড ভ্যালু সঠিক বানানের ডোমেইনে অটমেটিক চলে যায়। উদাহরন: cellbazaar.com এখানে cell বানান ভুল থাকায় sellbazaar.com এ চলে যাচ্ছে। কারন কেউ সেলবাজারকে পরিচয় করিয়ে দিলে সে বলে দিবে না যে সেল বানানটা সি(C) দিয়ে। সুতরাং ডমিনে বানানের প্রতি নজর দিন।
৪। বেশি শব্দ পরিহার করা: ডোমেইনে যত কম শব্দ ব্যবহার করা যায় ততই ভাল। বেশি বর্ণ বা শব্দ না ব্যবহার করাই উত্তম। অল্প বর্ন বা শব্দ যা কিনা বলতে ও শুনতে শ্রুতি মধুর হয় সেই দিকে খেয়াল রাখবেন। বড় শব্দের ডোমেইন মানুষের পক্ষে মনে রাখাটা কষ্টকর। তাই শ্রুতি মধুর ছোট নাম দেওয়াটাই উত্তম।
৫। সম্ভব হলে ডট কম (.com) ডোমেইন নেওয়া: যেকোন সাইট বানানোর ক্ষেত্রে বিশেষ করে ব্লগিং ও অ্যাফিলিয়েশান ক্ষেত্রে ডট কম (.com) ডোমেইনের প্রধান্য দেওয়া উচিৎ। প্রয়োজনে ডোমেইনের নামে কিছু পরিবর্তন করে হলেও নেওয়া উচিৎ। পরিবর্তনটা এক এক নামের ক্ষেত্রে এক এক রকম হতে পারে।
৬। রিদমিক ডোমেইন চয়েজ করা: যেহেতু ভাল ও প্রয়োজনীয় বেশির ভাগ ডমিন বিক্রি হয়ে গেছে, তাই আপনার ডোমেইন চয়েজ করার ক্ষেত্রে রিদমিক ব্যাপারটা মাথায় রাখতে পারেন। সেক্ষেত্রে দুইটি বা তিনটি শব্দ মিলিয়ে রাখতে পারেন। কিছু রিদমিক ডমিনের উধাহরন: lalgolap.com (lal এবং golap), currentworld.com (current এবং world), smartpassiveincome.com (smart, passive এবং income), earntricks.com (earn এবং tricks, devsteam.com (devs এবং team) bigganprojukti.com (biggan এবং projukti) ইত্যাদি
কোথা থেকে ডোমেইন কিনবেন?
যদি আপনার পেওনিয়ার মাস্টার কার্ড, পেপাল কিংবা অন্য কোন পেমেন্ট গেট-ওয়েতে একাউন্ট থাকে তাহলে আমি বলব আপনি ইন্টারনেশনাল কোম্পানি থেকে ডোমেইন কিনুন। নিচে কিছু জনপ্রিয় কোম্পানির নাম দেওয়া হল যারা কিনা অল্প দামে ডোমেইন প্রভাইট করে। এদের কাছ থেকে ডোমেইন কিনতে পারবেন দাম ১০ থেকে ১২ ডলারের ভিতর।
ইন্টারনেশনাল কোম্পানি:
যারা এখনো মাস্টার কার্ড নেন নি বা পান নাই, তারা দেশিয় অনেক কোম্পানি আছে যাদের কাছে বাংলা টাকার বিনিময়ে ডোমেইন কিনতে পারবেন। এদের কাছ থেকে ডোমেইন কিনতে আপনার খরচ হবে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন